ইন্তেকাল করেছেন এরশাদ | দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রাম
সকাল পৌনে আটটায় সিএমএইচ এ ইন্তেকাল করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (ইন্না লি.... রাজেউন)। চলুন জেনে নেই তাঁর পরিচিতি -
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এই দল গঠন করেন। মূল দল জাতীয় পার্টি বিভক্ত হয়ে এই দলে পরিণত হয়। এর মূল নেতা এবং প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। বর্তমানে এর মূল দল জাতীয় পার্টি ৩-টি অংশে বিভক্ত। মূল দলের নেতা এরশাদ, তবে অন্য দুইটি অংশের নেতা যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও নাজিউর রহমান মঞ্জুর ছেলে পার্থ।
২০১৪ তে এরশাদ এর কাজের জন্য জাতীয় পার্টি বিভক্ত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার এর নেতৃত্বে নতুন দল হয় এবং এটি ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ১৯ দলীয় জোট হয়।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০) বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার দেশ পরিচালনাকে অনেকেই সামরিক একনায়তন্ত্রের সাথে তুলনা করেন। তিনি জাতীয় পার্টি নামক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তীতে বেশ কিছু উপদলে বিভক্ত হয়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন হতে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৮৩ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সামরিক শাসন জারীর মাধ্যমে দেশ শাসন করেন। দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুন:প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ঘোষণা করে তিনি ১৯৮৬ সালে সংসদীয় সাধারণ নির্বাচন দেন। এই নির্বাচনে তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ভোটপ্রার্থী হিসাবে অংশ গ্রহণ করেন এবং পরে পাঁছ বছরের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে গণবিক্ষোভের চাপে এবং সেনাবাহিনীর সমর্থনের অভাবে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
প্রাথমিক জীবন ও সামরিক পেশাজীবন
১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি রংপুর জেলায় দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর জেলায় শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন